Coronavirus and Working from Home
The COVID-19 outbreak has caused almost all firms to deploy the work from home practice for employees. While some may be used to this, others may feel lost in the exercise. While not all Indian are able or fortunate enough to work from home, many have transitioned to telecommuting and virtual work over the last week or two.
Individuals work from home for a number of reasons. Maybe you’re a stay at home parent, or maybe your office space is under renovation. Maybe you are sick with the flu or, as it pertains to recent headlines, trying to self-isolate as coronavirus cases pop up around the country. Whatever the reason for “telecommuting,” there are ways you can ensure you are being productive, healthy and happy while working from home.
Working from home sounds like a luxury, but it comes with a number of challenges. What if you have connectivity issues with coworkers? What if you need something from your office that you don’t have access to? What if you are bombarded with other in-home distractions like pets, family members and electronics? Here are some tips for telecommuting, working from home, self-isolating or even self-quarantining—no matter your reasoning.
1. Maintain Regular Hours
Set a schedule and stick to it. Working designated hours, and then stopping when those hours are up, will give your brain time to work and time to rest. While working remotely does mean that there is added flexibility with your personal life schedule, it’s best to stick to a schedule where you can be productive, get your work done and call it a day when work hours are up.
2. Create a Morning Routine
Humans are creatures of habit—and that’s partly because routine helps us mentally and physically prepare for things. Whether it’s having a cup of coffee every morning, doing some morning stretches or taking your dog on a walk, creating a morning routine can greatly help you get ready for the work-day at home.
3. Be alert; do not use the oven or stovetop if you are sleepy or under the influence of a substance.
4. Preparation of Food:
Stay in the kitchen if you are cooking food with any form of heat. When simmering, baking or roasting, check the food regularly, remain in the kitchen while cooking, and use a timer.
5. Keep all flammables, like paper, clothing, bedding, drapes or rugs, at least three feet from a space heater, stove, or fireplace.
6. Smoke alarms can be annoying
They beep, you have to replace batteries, and if you cook something smokey in the kitchen they sometimes go off. However, they are essential for fire safety, as they give an early warning that greatly reduces risk of injury or death. The National Fire Protection Association (NFPA) reports that three out of five fire deaths happen in homes with no smoke alarms or working smoke alarms.
7. Schedule Breaks
Just like any working environment, giving yourself breaks is incredibly important to let your brain and body relax. Take a 15-minute walk, go make some lunch or catch up with a loved one on the phone—whatever you do, though, do not work yourself to the bone without letting yourself take a break away from screens, meetings and work.
8. Audit CCTV footage as an SOP
If you are responsible to take care security / safety part of your company, or you are owner of your company, then you must see what camera saw. Once auditing becomes a de-facto requirement, at least of some critical cameras, and audit reports are maintained and acted upon, it will result in huge amount of prevention and continuous improvement. Auditing will help in discovering several exceptions that would otherwise remain hidden within the footage.
9. Socialize with Colleagues
Of course, if you are sick or trying to stay healthy in the wake of something like the coronavirus, socializing in-person with others might night be best idea. But in general, if you are working from home, socializing is important.
In the event of sickness or COVID-19, it is still important your get out and take a break from your routine workspace. Yes: isolation, quarantine, and social distancing are all different things. However, you can often control your environment to keep your body and brain health—especially if you are self-quarantining and social distancing.
10. Fire Extinguisher
Lastly, know where your nearest fire extinguisher is. But remember, not all fire extinguishers are created equal. Remember “PASS” is process for using a fire extinguisher
· Pull the pin
· Aim low at the base of the fire
· Squeeze the handle slowly
· Sweep the nozzle side to side
Practice your fire escape plan! This includes practicing getting out with your eyes closed, crawling on the floor with your mouth covered, doing “stop, drop, and roll” and testing door handles to see if they are hot.
While employers’ responsibilities for the safety and health of their at-home workers is less than those in the office or onsite, some do still exist. OSHA distinguishes between home offices and other home workplaces.
OSHA’s compliance directive on home offices is pretty clear:
· “OSHA will not conduct inspections of employees’ home offices.
· “OSHA will not hold employers liable for employees’ home offices, and does not expect employers to inspect the home offices of their employees.
· “If OSHA receives a complaint about a home office, the complainant will be advised of OSHA’s policy. If an employee makes a specific request, OSHA may informally let employers know of complaints about home office conditions, but will not follow-up with the employer or employee.”
What about recording injuries while working at home? If an employee is working at home, when could the injury be considered work-related? OSHA answers the question:
How do I decide if a case is work-related when the employee is working at home? Injuries and illnesses that occur while an employee is working at home, including work in a home office, will be considered work-related if the injury or illness occurs while the employee is performing work for pay or compensation in the home, and the injury or illness is directly related to the performance of work rather than to the general home environment or setting.
OSHA 300 Log and COVID-19
In the case of the coronavirus, OSHA has a few guidelines in place for your reference. Employers must record cases of the coronavirus only if the employer believes that the employee was exposed at work, and the case is diagnosed by a laboratory test or healthcare provider as having been caused by the coronavirus, and the case is otherwise recordable.
There is no presumption that an employee who has come down with a case of coronavirus was infected at work. Instead, for the illness to be considered work-related, there must be evidence that it was contracted at work. If there is no such evidence, the case is not recordable.
আমি যখন প্রতিবেদনটা লিখতে বসেছি, ভারতীয় সময় রাত ৯ টা ৩০ মিনিট, তারিখ মার্চ ৩০। এর মধ্যে Covid19 এর কারণে ভারতে মৃত্যু ঘটে গেছে ৩৪ জনের। নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩০০ জনের উপরে্। আজ নতুন আক্রান্তের তালিকাতে নাম লিখিয়েছে ১৭৯ জনের মত, তবে আর বাড়তে পারে। এই প্রতিবেদনটা লেখার একটাই কারণ, Covid19 সংক্রান্ত কতগুলো ভ্রান্ত ধারণা থেকে মানুষকে সজাগ করা। পুরো প্রতিবেদনটা লেখা হয়েছে তথ্যের উপর ভিত্তি করে। ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত যে রোগীকে (মহিলা) চিহ্নিত করা হয়, তার বয়স ছিল বছর কুড়ি। আজ থেকে ঠিক দুই মাস আগে, জানুয়ারির ৩০ তারিখ। মেয়েটির বাড়ি কেরলের ত্রিসুর শহরে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজায়ানের টুইট থেকে আমরা দেশের প্রথম করোনা পজিটিভ রোগীর কথা জানতে পারি। মেয়েটি চিনের উহান শহরে পড়াশোনা করত এবং সেখান থেকেই সে আক্রান্ত হয়। তাকে আইসলেসনেও রাখা হয়, আর এখান থেকেই আমাদের দেশে করোনা যাত্রা শুরু। এই দুইমাসে অনেক জল গড়িয়েছে, কিন্তু আমি সে প্রসঙ্গে যাচ্ছিনা। সারা দেশ এখন লক ডাউন পরিস্থিতি চলছে। কোথায় এর অন্ত, কারো জানা নেই। এখন আমি যে কথাগুলো বলতে চাই -
(ক) কেরল (২৩৪) ও মহারাষ্ট্রের (২২০) আক্রান্তের সংখ্যা ডাবল সেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে, এখন প্রায় ২৫০ এর কাছাকাছি। সারা দেশে জুড়ে রাজ্য এর কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল মিলে ২৭ টি জায়গায় সংক্রামণ ছড়িয়ে পরেছে। দিল্লী (৯৭), উত্তর প্রদেশ (৯৬) আর কর্ণাটকের (৯১) আক্রান্তের সংখ্যা শতক ছুঁই ছুঁই। তবুও লিস্ট অনুসারে ঝাড়খণ্ড সহ আরো ৬ টি রাজ্য (আসাম, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, মেঘালয় আর নাগাল্যান্দ) এখনও সংক্রামণ মুক্ত। এটা কি সম্ভব, যেখানে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে যথেষ্ট সংক্রামণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর এটা যদি হয় যে আমাদের মেডিক্যালজনিত অসুবিধার কারণে রাজ্যগুলিতে সংক্রামণের টেস্ট হচ্ছেনা, তাহলে ধরে নেওয়া যায় এইসব জায়গাগুলিতে সংক্রামণের আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হচ্ছে। আর এইগুলো যেকোনো মুহূর্তে বিস্ফোট ঘটাতে পারে। আর তাই যদি হয় এই বিস্ফোরণের আগুনের হাত থেকে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলো ছাড় পাবেনা, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ তো নয়ই। কারণ পশ্চিমবঙ্গ আর ঝাড়খণ্ডের জনসংযোগ। তাই এইসব রাজ্যগুলিতে এখনি টেস্টিং আর চিকিৎসার সুবন্দব্যাবস্থা করা উচিৎ।
(খ) কেরালা (২৩৪) আর মহারাষ্ট্রে (২২০) আক্রান্তের সংখ্যা কাছাকাছি হওয়া ষত্বেও কেরালার (০.৪৩%) চেয়ে মহারাষ্ট্রের (৪.৫৫%) মৃত্যুর হার অনেক বেশি কেন? কেরালাতে যেখানে মাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে, সেখানে মহারাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা দশ। আবার কেরলাতে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন যেখানে মাত্র ২০ জন, সেখানে মহারাষ্ট্রে ৩৯ জন। এই ঘটনা যেন এটা ইংগিত না করে, আত্যাধিক রোগীর চাপে, দ্রুত চিকিৎসা পারিসেবা দিতে গিয়ে পুরানো রোগীরা অবহেলিত হচ্ছে। আর হসপিটালগুলিতে রোগীর চাপ কমাতে, একটু তাড়াতাড়িই ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।
(গ) তেলেঙ্গানা ও গুজরাতে মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি। হু (ডব্লিউএইচও) এর হিসাব অনুযায়ী সারা বিশ্বে করোনাতে যেখানে মৃত্যুর হার ২% এর কাছাকাছি ভাবা হচ্ছে, সেখানে আমাদের সারা দেশের মধ্যে তেলেঙ্গানাতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর হার সর্বাধিক ১০.৩৯% আর তারপরেই গুজরাতে ৮.৫৭%। এতবেশি মৃত্যুর হার সত্যিই চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। কেরালাতে যখন মৃত্যুর হার এত কম, তাহলে করোনার চিকিৎসার জন্য সারা দেশে কেরালা মডেল অনুসরণ করা উচিৎ।
(ঘ) দেশে কি করোনার আক্রমণ ভয়ংকর ভাবে ফেলতে শুরু করেছে? না, এখনও পর্যন্ত ভয়ংকর পর্যায়ে শুরু না হলেও, যেকোনো মুহূর্তে গতিবৃদ্ধি পেতেই পারে। দেশে যেখানে ৩০ শে জানুয়ারি থেকে ২৯ শে ফেব্রুয়ারি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র তিন, এখন ৩০ শে মার্চে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২৮ জন। একদিনে মৃত্যু ঘটেছে ১৬ জনের। মার্চের প্রথম সপ্তাহের শেষে আক্রান্ত ছিল ৩৪ জন। পরের সপ্তাহের শেষে সেটা বেড়ে দাঁড়ালো ১০৭ জন। পরযাইক্রমে সেটা তৃতীয় সপ্তাহে হল ৩৩৪ জন। আর যেখানে মাসের শেষে করোনাতে আক্রান্ত হওয়ার মোট সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২৮ জনে। তাই এপ্রিল মাসটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
(ঙ) অনেকে বলছে মেয়ে ও অল্পবয়স্কদের করোনাতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা নাকি কম। সত্যিই কি তাই? উত্তরটা একেবারেই না। কারণ ডাটা কিন্তু অন্য কথা বলছে। মনে রাখতে হবে, দেশের প্রথম সংক্রামণ একজন মেয়ের মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল এবং তার বয়স ছিল মাত্র ২০। মেয়ে বা ছেলের আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সমান সমান। যেটুকু কম আছে তার কারণ হয়ত, সংখ্যার ভিত্তিতে মেয়েরা ছেলেদের তুলনাই বাইরে কম এক্সপোজ হন। কয়েকটা উদাহরণ দিলে পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাবে। নিচে উদাহরণ সহ সবিস্তারে বিশ্লেষণ করা হল।
(চ) একটা কেস স্টাডিতে দেখা গেছে, পি৬ একজন পুরুষ ইটালি থেকে রাজস্থানের জয়পুর এসেছিল বেড়াতে। বয়স ৫৫ বছর। ভারতে এসে অসুস্থ হলে করোনা আক্রান্ত রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু সে হসপিটালে ভর্তির আগে ১৬ জনের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। আর তাঁরা সকলেই মহিলা। যদিও তাঁরা প্রত্যেকেই বয়সে পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব। তিনজন বাদে এখন সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
(ছ) মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলিতে, অন্য আরেকটি স্টাডিতে দেখা গেছে একজন মহিলা পি ৭৬৪ (২৭ শে মার্চ ভর্তি হয়েছেন), করোনা পজিটিভ। উনি হসপিটালে ভর্তির আগে ১১ জনকে করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত করে গেছেন এবং এঁরা প্রত্যেকেই মহিলা।
(জ) এটা জন্মু কাশ্মীরের বান্দিপুরের ঘটনা। একজন ব্যাক্তি পি ৫৩১, বয়স ৬৫ বছর, যিনি বাইরের থেকে ট্রাভেল করে এসেছিলেন। তিনি যে করোনা পজিটিভ ছিলেন সে বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিলেন। তিনি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। পরে অসুস্থতার কারণে ২৪ শে মার্চ হসপিটালে ভর্তি হন এবং তিনি যে করোনা পজিটিভ ছিলেন সে বিষয়ে অবগত হন। ঐ অনুষ্ঠানের দিন তিনি যাদের যাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের অনেকের পরীক্ষা করা হয়, এবং তাদের মধ্যে ১০ জনের Covid19 এ আক্রান্ত বলে পাওয়া যায়। এদের বেশিরভাগের বয়স ছিল ২৮-৩৫ বছর। এদের সকলকেই ২৭ শে মার্চ ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত পি ৫৩১ লোকটি মারা যান। এর থেকে পরিষ্কার ধারণা হয় যে, সংস্পর্শে আসলে যেকোন বয়সের ব্যাক্তি করোনাতে আক্রান্ত হতে পারে।
(ঝ) ঘটনাটি পাঞ্জাবের বাঙ্গা জেলার। পি ১৮২ একজন ৭০ বছরের বৃদ্ধ। উনি জার্মানি থেকে ইটালি হয়ে ভারতে ফিরেছিলেন। তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন এবং হসপিটালে ভর্তি হওয়ার পর মারা যান। তিনি মারা জাবার আগে তাঁর থেকে ১৬ জন আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ২ বছরের শিশুও আছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। এই ১৬ জন ছিল আন্যান্য জেলা বা সদরের,নবানশহর, ফিলাউর, শহিদ ভগত সিং নগড়, গড়শঙ্কর। এই আক্রান্তদের মধ্যে ৬০ বছরের বৃদ্ধও আছে (পি ৩১১), যার থেকে তাঁর ৩১ বছরের ছেলে আক্রান্ত হন (পি ৬৩৯)।
বর্তমানে করোনাভাইরাসের যে প্রজাতিটা COVID-19 নামক অতিমারী ঘটিয়েছে, তার সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান খুব সীমিত। সীমিত হওয়াটাই স্বাভাবিক, কারণ এটা একদম নতুন প্রজাতি। প্রতি মুহূর্তে এই নিয়ে রিসার্চ চলছে এবং ধীরে ধীরে আমরা জানার চেষ্টা করছি এর চরিত্র সম্পর্কে। খুব বেশি এখনও জানা না গেলেও এটুকু আমরা জানি এটা একটা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যেটা কিনা বিশ্বব্যাপী মহামারী, অর্থাৎ অতিমারী (Pandemic) ঘটাতে সক্ষম। ঠিক যেমন H1N1 Influenza Virus যাকে আমরা সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস বলি। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ২০০৯-১০ সালে এটা পৃথিবী কাঁপিয়ে দিয়েছিল। তার আগেও একবার কাঁপিয়েছিল। সালটা ছিল ১৯১৮। টানা দুবছর তান্ডব করার পর যখন ১৯২০ সালে বিদায় নিল তখন বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি কমে গেছে স্রেফ ওই ভাইরাসের কারণে। আজ্ঞে হ্যাঁ, আনুমানিক ৫০ কোটি মানুষকে আক্রান্ত করে এবং প্রায় ৫ কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটিয়ে তবেই ক্ষান্ত দিয়েছিল এই অতিমারী। সেবার রোগটার নাম দেওয়া হয়েছিল Spanish Flu, কারণ প্রথম রিপোর্টিং হয় স্পেনে।
তো যেহেতু Spanish flu pandemic এর সাথে COVID-19 pandemic এর চরিত্রগত মিল আছে, সেহেতু preventive guideline এর ক্ষেত্রে সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি বলে ধরা যেতে পারে, অন্তত আমার মতে। সেই মাপকাঠি বা standard অনুযায়ী লকডাউন ঘোষণা করার টাইমিং-টা ঠিকই আছে। অনেকে বলছেন আরো অনেক আগে ঘোষণা করা উচিত ছিল, তাঁদের সাথে আমি একমত নই। বড়জোর আরো দুদিন আগে হয়তো ঘোষণা করা যেত, তবে সেটা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। বরং আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল আরেকটু আগে বন্ধ হলে ভালো হতো, কিন্তু সেখানে নিশ্চয়ই সরকারের কিছু জাস্টিফায়েড কারণ আছে যার জন্য কয়েকদিন দেরি করতে বাধ্য হয়েছে।
এরপর কি ? এরপর নিয়ম অনুযায়ী ন্যুনতম তিন সপ্তাহ সবাইকে ঘরবন্দি করে ফেলা, সংক্রমণ রোখা/আয়ত্তে রাখা, করোনাভাইরাস সংক্রমণের চেন ভাঙাটা সুনিশ্চিত করা, এবং এপ্রিলের মাঝামাঝি লকডাউন তুলে নেওয়া। তবে সেই লকডাউন তোলা হবে নাকি এক্সটেন্ড করা হবে সেটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর। যদি দেখা যায় সংক্রমিতর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাহলে বুঝতে হবে তখনো active transmission চলছে, অতএব তখন একমাত্র উপায় লকডাউন এক্সটেন্ড করা।
অপরদিকে যদি পরিস্থিতি অনুকূল থাকে তাহলে তিন সপ্তাহ পর লকডাউন ওঠানো যেতে পারে। ওঠানো মানেই কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক পরিস্থিতি হয়ে যাওয়া নয় ! হিসাব মতো যেটা হওয়া উচিত সেটা হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হোস্টেল বন্ধ রাখা, অফিস কাছারিতে অর্ধেক লোকবল দিয়ে কাজ চালানো, বিনা প্রয়োজনে বাইরে না বেরোনো, যতটা সম্ভব ঘরবন্দি থাকা, ট্রেন বাস ইত্যাদি কম চালানো, public gathering নিষিদ্ধ করা, সভা-সমিতি বন্ধ রাখা, social distancing সুনিশ্চিত করা, এবং অবশ্যই গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ম নজর রাখা।
দেখতে হবে নতুন কোনও কেস হচ্ছে কি না আর হলেও তার সংখ্যা কিরকম। স্প্যানিশ ইনফ্লুয়েঞ্জা অতিমারীর ক্ষেত্রে প্রাথমিক ঢেউটা সামলানোর পর একটা দ্বিতীয় ঢেউ এসেছিল। মারাত্মক ঢেউ ! অনভিজ্ঞতার ফলে সেই ঢেউ সামলানো যায়নি, ফলে প্রচুর প্রাণহানি ঘটেছিল। এই ঢেউটা হলো secondary attack এর ফল, যা কিনা এবারেও চিনে দেখা দিয়েছে। যদি আমাদের দেশে প্রাথমিক ঢেউটা কোনোমতে সামাল দেওয়ার পর দেখা যায় দ্বিতীয় ঢেউ উঠবো-উঠবো করছে, তাহলে একটা দ্বিতীয় লকডাউন করতে হতে পারে।
অর্থাৎ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখনও কমসে কম তিন-চার মাসের ধাক্কা, depending on the sequence and outcome of the disease.
মনে রাখবেন, সবকিছু নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কিন্তু কিছু প্রাণহানি ঘটবেই ! হাজার চেষ্টা করলেও সেটা আটকানো যাবে না। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসাবে আমরাও কয়েকজন আক্রান্ত হবো, কয়েকজন মারা যাবো, তার মধ্যে আমিও থাকতে পারি ---- সেটাও কিছু করার নেই। এমন সাঙ্ঘাতিক অতিমারীতে এটুকু catastrophe মেনে নিতে হবে। আবার যদি কোনও ভাবে এই রোগটার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয় তখন কিন্তু catastrophe আর 'এটুকু'তে থেমে থাকবে না ! তাহলে আমাদের কি করতে হবে ? না কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রুখতে হবে।
(ঞ) এবার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কিভাবে হতে তার উদাহরনে আসা যাক। তামিলনাড়ুর পেরুন্দুরাই এর এক ব্যাক্তি (পি ৩০১), বয়স ৬৯, কিছুদিন আগে ফুকেত থেকে ফেরেন দিল্লী ও এরদ রেল স্টেশন হয়ে। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে ২১ শে মার্চ হসপিটালে ভর্তি হন। তিনি ১৩ জন ব্যাক্তিকে সংক্রামি্ত করেন। এর মধ্যে ১০ জন সংক্রামিত হন ট্রেনের মধ্যে তাঁর সাথে যাত্রাকালে, আর ৩ জন সম্ভবত থাইল্যান্ড থেকেই সংক্রামিত হন। এই ব্যাক্তির থেকে একজন মাদুরাই জেলার ৫৪ বছর বয়সী এক ব্যাক্তি (পি ৫০২) সংক্রামিত হন এবং কিছুদিনের মধ্যে মারা যান। এই ব্যাক্তি মৃত্যুর আগে আরও ৭ জনকে সংক্রামিত করেন, আর তাঁরা প্রত্যেকেই তাঁর পরিবারের সদস্য ছিলেন।
পি ৩০১ সংক্রামিত ব্যক্তিটি পেরুন্দুরাই এর আরেক ৬৩ বছর বয়সী ব্যাক্তিকে (পি ৬৫৩) সংক্রামিত করেন। আর এই পি ৬৫৩ ব্যক্তিটির থেকে ২৯ বছর বয়সী এক মহিলা সংক্রামিত হন (পি ১০৭৬) এবং এই মহিলা আগে আরও দুই মহিলা ও এক পুরুষকে সংক্রামিত করে।
কিভাবে এই অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই করল সে অভিজ্ঞতা সারা পৃথিবীর বৈজ্ঞানিক মহল কে জানিয়েছে। জানা এখনো শেষ হয়নি ।অবিরাম বিভিন্ন দেশের মানুষ প্রশ্ন করে যাচ্ছে আমেরিকা সহ। চীন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে নেই বলা যাবেনা। অনেকেই করেছে, এমন কি বৈজ্ঞানিক মহলেও। তাদের অভিযোগ চীন বেশ দেরি করেছে বৈজ্ঞানিক সংবাদ ভাগ করে নিতে,যা বিজ্ঞানীদের কাছে প্রথা বিরূদ্ধ । তাও এমন এক অসুখ এর ক্ষেত্রে। রাজনীতির কথা ছেড়েই দিলাম। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি এই ভাইরাস কে চীনা ভাইরাস বলতেও কুণ্ঠা করেনি। চীনের উপযুক্ত মহল থেকে উত্তর দেওয়া হয়েছে। কোন ভাইরাস কোন দেশের সম্পত্তি নয় এটা সারা পৃথিবীর। যাইহোক সব বিবাদ ভুলে সবাই চীনের ডাক্তারদের লড়াই করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগছে। চিনও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। বিশেষ করে 37টি দেশ যারা চীনে শুরু অতিমারীর সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল। ভারত অন্যতম। কয়েক টন চিকিৎসা সংক্রান্ত বস্তু পাঠিয়েছিল চিনে এক বিশেষ বিমানে । তার মধ্যে ছিল মাস্ক,ppe, সানিটাইজার ওষুধ ইত্যাদি। বর্তমানে চীন অনেক দেশেই চিকিৎসক দল পাঠাচ্ছে তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করার জন্য।
কিভাবে এই অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই করল সে অভিজ্ঞতা সারা পৃথিবীর বৈজ্ঞানিক মহল কে জানিয়েছে। জানা এখনো শেষ হয়নি ।অবিরাম বিভিন্ন দেশের মানুষ প্রশ্ন করে যাচ্ছে আমেরিকা সহ। চীন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে নেই বলা যাবেনা। অনেকেই করেছে, এমন কি বৈজ্ঞানিক মহলেও। তাদের অভিযোগ চীন বেশ দেরি করেছে বৈজ্ঞানিক সংবাদ ভাগ করে নিতে,যা বিজ্ঞানীদের কাছে প্রথা বিরূদ্ধ । তাও এমন এক অসুখ এর ক্ষেত্রে। রাজনীতির কথা ছেড়েই দিলাম। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি এই ভাইরাস কে চীনা ভাইরাস বলতেও কুণ্ঠা করেনি। চীনের উপযুক্ত মহল থেকে উত্তর দেওয়া হয়েছে। কোন ভাইরাস কোন দেশের সম্পত্তি নয় এটা সারা পৃথিবীর। যাইহোক সব বিবাদ ভুলে সবাই চীনের ডাক্তারদের লড়াই করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগছে। চিনও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। বিশেষ করে 37টি দেশ যারা চীনে শুরু অতিমারীর সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল। ভারত অন্যতম। কয়েক টন চিকিৎসা সংক্রান্ত বস্তু পাঠিয়েছিল চিনে এক বিশেষ বিমানে । তার মধ্যে ছিল মাস্ক,ppe, সানিটাইজার ওষুধ ইত্যাদি। বর্তমানে চীন অনেক দেশেই চিকিৎসক দল পাঠাচ্ছে তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করার জন্য।
অসুখ টা ঠিক কবে শুরু হয়েছিল সেটা এখনো নির্ধারিত হয়নি। যেমন হয়নি প্রথম ব্যাক্তি কে চিহ্নিত করন। এখন পর্যন্ত এটুকু জানা গেছে যে উনি একজন মহিলা। তিনি নাকি 26 জনকে সংক্রামিত করেছেন। তবে ওই মহিলা কিন্ত বহাল তবিয়তে আছেন। একথা শুধু মাত্র জিজ্ঞাসাবাদ থেকে আসেনি। ভাইরাসের কারণে জন্মানো এন্টিবডি বিশ্লেষণ ,ভাইরাসের genome এর পরিবর্তন ইত্যাদিও দেখা হয়েছে। ভাইরাসটির মধ্যে মাসে দু তিনটি মিউটেশন ঘটে চলেছে। চীনা বিজ্ঞানীরা ভাইরাস টির দুটি পরিষ্কার রকম ফের লক্ষ্য করেছে। নাম করনও হয়েছে S ও L ভ্যারাইটি। এই অংশ আমি নিজে বুঝিনা। L নাকি বেশি বিপজ্জনক এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শুধু এটুকু বুঝি যত দেরি হবে বিপদের মাত্রা বাড়বে।
মানুষের সর্দি জ্বর হয়। বেশিভাগ ক্ষেত্রে মেনে নেওয়া হয় ফ্লু হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই সেরে যায় 5/6 দিন পরেই। Either it will take one week or maximum seven days . প্রচলিত কথাই আছে। কিন্তু এবার তো এমন ঘটল না। উপসর্গ সব ফ্লু এর মত মিললেও শ্বাস কষ্ট খুব বেশি হতে লাগল। ডাক্তারদের সন্দেহ ঘনীভূত হল। আবার কি SARS বা MERS এর মত কিছু নয় তো,? মাত্র কয়েক বছর আগের টাটকা অভিজ্ঞতা আছে।ডাক্তার বিজ্ঞানীরা ফিরে গেল গবেষণাগারে pathogen এর সম্পেল সহ। অবাক কান্ড! এতো এক নতুন ভাইরাস। তবে গঠনে আগের থেকে জানা করোনা ভাইরাসের সাথে মিল আছে। তাই নাম হল novo corona virus । ভাইরাসের মধ্যে থাকা rna এর নিউক্লিক এসিডের সংখ্যা ,sequence সবই নির্ধারিত হল। জিন এর সংখ্যাও।
এমনিতেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশেষ কোন ওষুধ নেই। দু একটা রোগে এন্টিভাইরাল প্রয়োগ করা হয়। তবে মানুষকে ভাইরাস আক্রমণ থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন বা টিকা ব্যবহার করা হয়। সোজা কথায় ওই ভাইরাস শরীরে ঢুকলে দেহের রক্ষী বাহিনী ওই বিশেষ ভাইরাস এর বিরুদ্ধে সংগঠিত লড়াই চালিয়ে নিকেশ করে দেবে। পূর্ব শর্ত হল বাইরে থেকে আসা ভাইরাস টি যেন রক্ষী বাহিনীর পরিচিত হয়। ভ্যাকসিনই পরিচয় করানোর কাজটি করে থাকে। ট্রাফিক পুলিশের কাজ ট্রাফিক ঠিকঠাক রাখা। কে পকেটমারী করছে দেখা নয় এর মত। রক্ষী র পরিচিত না হলে নিষ্ক্রিয় থাকবে ট্রাফিক পুলিশের মত।
চিকিৎসক বিজ্ঞানীরা দেখল, না আছে কোন ওষুধ না কোন ভ্যাকসিন। উপায় কি? আদি অকৃত্রিম... রোগীদের আলাদা কর। মজার কথা হল এই চিন্তা মাথায় আসতে অনেক দিন গড়িয়ে গেছে। ভাইরাস সম্পর্কিত বিশদ বিবরণ প্রকাশ্যে আনতে দেরি হয়েছে ..এই অভিযোগ অন্য দেশের বিজ্ঞানীরা করেছে।
যাইহোক চীন যখন ভাইরাস বিষয়টি অবগত হল ,গোটা হুবেই প্রদেশে লক ডাউন ঘোষণা করে দিল। বিশেষ ব্যবস্থা নিল উহান শহরে। ততক্ষনে কিন্তু গোটা চীন দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসের আগুন। তারিখ টা ছিল 23 সে জানুয়ারি। চীনা বিজ্ঞানীরা কেবল মাত্র 20 জানুয়ারি তারিখে জানতে পারলে যে এই ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে। শুরু ধরা হচ্ছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। প্রায় দেড়মাস মানুষ ওই ভাইরাস যথেচ্ছ ভাবে ছড়িয়েছে। ভরকেন্দ্র ছিল উহান শহর।
ঠিক এখানেই ভারত দেখে শেখার সুযোগ পেয়েছে। মাত্র কয়েক দিনেই প্রয়োজনীয় খবরগুলো হাতে এসে গেছে। চীন পারেনি সেকেন্ড স্টেজে আটকাতে কিন্তু ভারত পেয়ে গেল সেই স্বর্ণ সুযোগ। এতো হয়ে গেল, বাবা ভালো ভালো বই,ভালো প্রাইভেট টিউটর সব ব্যবস্থা করে দিল। কিন্তু ছেলের পড়াশুনো করতে ভালো লাগেনা। আমাদের স্কুলের এক মাস্টারমশাই আমাদের উদ্দেশ্যে বলতেন...
চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী।
এর মানে এই নয় যে রাষ্ট্র নায়ক রা বুঝি খুব ভালো ভাবে দেশ কে নেতৃত্ব দিয়েছে। কি মারাত্মক ভুল করেছে সেটা বলা হয়েছে।বিভিন্ন প্রদেশ থেকে কাজের সন্ধানে যাওয়া মানুষেরা এখনো জানে না কি হবে অদূর ভবিষ্যতে।
এবার দেখা যাক চীন 23 জানুয়ারির পর কি কি করল..
লক ডাউন
কোয়ারানটাইন
আইসলেসন
চিকিৎসা
বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এনে ডাক্তারদের লাগিয়ে দিল চিকিৎসার কাজে। বিভিন্ন ধরণের ওষুধ উৎপাদন বাড়িয়ে দিল চিকিৎসার প্রয়োজনে। সাধারণ চিকিৎসা প্রায় থামিয়ে দিল ইমার্জেন্সি ছাড়া। দশ দিনের মধ্যে কয়েকটা হাসপাতাল তৈরি করে ফেলল।হসপিটাল গুলি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দিল। বিনামূল্যে ভাইরাসের উপস্থিতির পরীক্ষা শুরু করেদিল। স্পেশাল ক্লিনিকে সিটি স্ক্যান চালু করেদিল রোগ নির্ণয়ে। isolation এ যাবার দুদিনের মধ্যে টেস্ট করা সম্পূর্ন হল। হুবেই প্রদেশে দেড় কোটি মানুষকে ঘরে খাবার পৌছাবার ব্যবস্থা হল। স্টেডিয়াম গুলো কোয়ারানটাইন বানিয়ে দিল। বিভিন্ন মানুষের পেশা বদলে অন্য অতি প্রয়োজনীয় কাজে নিযুক্ত করল।
লক ডাউন কে পুরোপুরি লাগু করেদিল। এমনকি বাড়ির সামনে আর্ম গার্ড বসিয়ে দিল যাতে কেউ লকডাউন ভাঙতে না পারে। খাবারের হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা নিশ্চিত করে দিল।
মনে রাখতে হবে এই সব উদাহরণ আমাদের সামনে এসে গেল। আমাদের শুধু লাগু করা। তবে চীনের অন্যান্য স্থানে ট্রেন চলাচল বন্ধ করেনি। শুধু উহান শহরের মধ্যে কোন স্টপেজ বন্ধ করে দেয়। ট্রেন পাশ করার সময় ট্রেনের জানালা দরজাও বন্ধ রাখা হত।
হাতে নাতে ফল এসে গেল। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করে শুন্যে নেমে এল 25 সে মার্চ নাগাদ তারিখে। কয়েক দিন পরে অবশ্য নতুন ইনফেকশন এর খবর এসেছে। কিন্তু চীনা প্রশাসন জানিয়েছে তারা দেশের বাইরে থেকে চিনে ঢুকেছে।
এরপরও এখনো অনেক চাপান উতোর চলছে । তবে এটুকু জানা গেছে আপেল কম্পিউটার কোম্পানি তাদের সংস্থা খুলেছে। এক ভারতীয় ডাক্তার ,চীন দেশে কর্মরত এক সাক্ষাৎকারে বলছিল আগামী 3 এপ্রিল সরকারি ভাবে ঘোষণা করবে যে চীন করোনা ভাইরাস জনিত অসুখ থেকে মুক্ত। Journal of Science ম্যাগাজিনের খবর অনুযায়ী মোট আক্রান্তের 86 শতাংশ লক ডাউন ঘোষণার আগে ঘটে গেছে। আর 79 শতাংশ রোগী আক্রান্ত হবার উৎস হল undetected মানুষ গুলি। চিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা 81093 । মৃত্যু 3270 । হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে এখনো বাড়ি ফিরেছে 72703 । চীন তার অভিজ্ঞতায় বলেছ শুধু টেস্ট করে রোগী ধর আর isolation ও চিকিৎসা করতে হবে।
আমরা কি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভারতবর্ষ কে করোনা ভাইরাস মুক্ত করতে পারিনা।
উত্তর ভবিষতের গর্ভে ।।